জীবনী
মুফতি নাঈম মিসবাহ ইসলামিক এডুকেশন একাডেমীর মূল স্বপ্নদ্রষ্টা এবং পরিচালক। তিনি বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা থেকে হিফজ ; দাওরায়ে হাদীস ( মাস্টার্স হাদীস) ও ইফতা ( ডিগ্রী ইসলামিক আইন) সম্পন্ন করেন এবং ভারত উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিছুকাল সেখানে লেখা পড়া করেছেন ৷ কর্মজীবনে দাওয়াতের ময়দানে এসে জেনারেলপড়ুয়া ভাই-বোনদের দ্বীনি জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও বর্তমান সময়ের প্রতিবন্ধকতার ব্যাপারে তাঁর সম্যক ধারণা তৈরি হয় এবং সেখান থেকেই ইসলামিক এডুকেশন একাডেমীর যাত্রা শুরু। এরইমধ্যে তিনি "আলবালাদুত্ তাইয়িবাহ একাডেমী" ইয়ামনী এক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন এরাবিক কোর্স সম্পন্ন করেন ৷ এবং "আইএফএ কনসাল্টেন্সি " এর অধীনে ইসলামী অর্থনীতির উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ লাভ করেন ৷
বর্তমান তিনি ঢাকার সন্নিকেট সাভারস্থ এক মসজিদে ইমাম ও খতীব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং একটি ফতওয়া বিভাগে ( উচ্চতর ইসলামী আইন ও গবেষণা বিভাগ) ইসলামী অর্থনীতির উপর লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছেন ৷ পাশাপাশি অনলাইনে শিক্ষা, দাওয়াহ, লেখালেখি ও সেবামূলক কাজে যুক্ত আছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর খিদমাহকে কবুল করুন।আমীন!
বাণী
একজন মুসলিম হিসেবে প্রয়োজনীয় ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা আমাদের উপর ফরজ। দ্বীনি জ্ঞানের পাশাপাশি দুনিয়াবী জ্ঞানে পারদর্শিতা বা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু শুধু দুনিয়াবী জ্ঞানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আখেরাতের অনন্ত জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করা নিছক বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। দুনিয়া ও আখেরাতকে সাফল্যমণ্ডিত করতে দ্বীনের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। নবী সা. এর উপর প্রথম ওহী (প্রত্যাদেশ) ছিল, ‘পড়ো’। ‘পড়ো, তোমার মহান রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন’ [সুরা আলাক্ব: ১]।
নিজেকে একবার প্রশ্ন করে দেখুন তো, শাশ্বত জীবনাদর্শ ইসলাম সম্পর্কে আমি কতটুকু জানি? কতটুকু আমল করছি? পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী যাত্রা বা পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কতটা সচেতন আমি? একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন সুন্নাহর কতটুকু জ্ঞান আমি রাখছি?
অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আগ্রহ ও ইচ্ছা থাকাসত্ত্বেও হাতের নাগালে উপযুক্ত সুযোগ, পরিবেশ ও দক্ষ শিক্ষকের অভাবে দ্বীনের অন্যান্য মৌলিক বিষয় তো দূরে থাক মহান আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন বিশুদ্ধ করে পাঠ করার সৌভাগ্য হয় না। এটি বড় আফসোসের বিষয়। তাই, জেনারেলপড়ুয়া ভাই-বোনদের জন্য ইসলামী জ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় মৌলিক জ্ঞানার্জনের সুযোগ তৈরি করে দিতে বিশেষায়িত প্লাটফর্ম "ইসলামিক এডুকেশন একাজেমী" যাত্রা শুরু করে। বিগত বিছরগুলোতে দেশ-বিদেশের এই একাডেমীর মাধ্যমে অসংখ্য দ্বীনি ভাই-বোন ইসলামের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ইসলামিক এডুকেশন একাডেমীতে রয়েছে দেশ-বিদেশের উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী। বোনদের জন্য রয়েছে ডেডিকেটেড ফিমেল উস্তাযা। কুরআন, হাদীস, আক্বিদা, ফিকহ, আরবী ভাষা, সীরাহ ইত্যাদি নানা বিষয়ে স্বলমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন কোর্স/ওয়ার্কশপ। আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে পাঠদান। ওয়েব সাইটের ই-ক্যাম্পাসে সকল রিসোর্স প্রদান, মূল্যায়ন পরীক্ষা ও সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীদের জন্য থাকে সার্টিফিকেট।
তাই প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন, আর কোনো অজুহাত নয়, মহান আল্লাহর প্রতি ভরসা করে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করুন আপনার দ্বীনি জ্ঞানার্জনের পথচলা। দ্বীনী জ্ঞানের এই যাত্রায় "ইসলামিক এডুকেশন এরাডেমী" আছে আপনার পাশে। বারকাল্লাহু ফিকুম।